(নোয়াখালীতে
জঙ্গী হামলায় শহীদ ভাইদের প্রতি)
রক্তের কালিতে করেছো সৃষ্টি
সময়ের বুকে এক অনন্য রচনা,
ক্ষুদ্রতার মাঝে মহা-মহতের উজ্জ্বল পথরেখা;
উন্মুক্ত করেছো চির স্বার্থকতার পথ
এই জীর্ণ পৃথিবীতে,
মুক্তির আস্বাদ নিয়ে চলেছো সম্মুখে
সকল তুচ্ছতাকে চিরতুচ্ছ করে,
সকল নিচুতাকে করে উন্মোচন
অসীম স্বস্থির পথে,
প্রশান্ত আনন্দে,
পূর্ণ প্রাণে,
পেছনে নির্জীবপ্রায় মৃত রুদ্রাঞ্চল
স্বার্থের কষাঘাতে রক্তাক্ত, বিক্ষত।
কীটের বাসার মতো- নীচুতায় দীর্ণ প্রাণ
তোমার মহত্ব হয়তো বোঝেনি এখনো;
কিন্তু তার কি দায় তোমার?
মৃতকে করেছো রঞ্জিত
বুকের উষ্ণ রক্ত দিয়ে,
সঞ্জীবনী সুধায়-
চেয়েছো মৃতের বুকে আবার প্রাণের উদ্ভোদন;
চেয়েছো মানুষ পাক, মানুষের পরিচয় ফিরে-
মানবতা হোক জাগ্রত।
যারা আজো পথ পেতে চায়,
অন্ধকারে আলো চায়,
নিস্প্রাণ চোখের তারায় চায় আলোকচ্ছটা,
খুঁজছে চিরশান্তির অমোঘ নিশানা;
অন্তঃসারশূন্য ভোগে পথহারা ক্রন্দনে-
যাদের রক্তাশ্রু চায় স্বার্থক বিদ্রোহ,
স্বার্থপরতা আর প্রাণহীন প্রাণের দুঃশাসনে।
তাদের মশাল হলে
নিজের দেহের স্নেহ পুঁড়ে।
উন্মোচিত করে দিলে মানবতা কত সুদূরের,
লোভের লোলুপ এই ত্রাসের জগতে।
কিভাবে চলতে হয় পথ,
কোথায় সমাপ্ত যত ক্ষুদ্রতার ক্ষুদ্র সীমানা,
কোথায় লুকানো আছে জয়,
কোথায় লুকানো আছে অক্ষম পাশবিকতার-
মুখে ছোঁড়া বিদ্রুপের হাসি।
এ পৃথিবী আমাদের নয়,
সত্যেরে ধারণ করে, তার দাবী করেছো নিশ্চিত;
চলেছো মুক্তপ্রাণে নিজের জগতে-
হাস্যমুখে।
নিজের কর্ম পূর্ণ করে,
রচনা করলে সেই পথ,
যে পথ গিয়েছে চলে গৌরবের সর্বোচ্চ শিখরে।

No comments:
Post a Comment