সব বিভ্রান্তিকেই কেন চলে যেতে হবে? কিছু কিছু ভ্রান্তিও কি সত্যের মতো বা তার চাইতেও মধুর হয় না? হৃদয়ের কি কখনো ইচ্ছে করে না, যে সে একটু ঘুমোবে কিংবা একটা স্বপ্ন দেখবে- যেখানে রং আছে, সৌন্দর্য আছে, ভালবাসা আছে?
এইতো সেদিনের কথা। বিভ্রান্তিতে ছিলাম- আমি এখনো ছোট, আর জীবনটা অনেক বড়।
আরেকটু বিভ্রান্তি ছিলো জীবনকে সাজানো সম্ভব ফুলের বাগানের মতো। এটাতো হয়
না। কিন্তু বিশ্বাস ছিলো, বিভ্রান্ত বিশ্বাস, ভ্রান্ত বিশ্বাস, মধুর
বিশ্বাস। সেই অপদার্থ বিশ্বাসটা যদি থেকেই যেতো, তবে কি খুবই ক্ষতি হয়ে
যেতো পৃথিবীর, কিংবা সোসিওলজির, সাইকোলজির, ইকোলজির বা বিজ্ঞানের?
বিভ্রান্তিতে ছিলাম, মানুষগুলো সব মানুষেরই মতো, মনযুক্ত- মানবিক। যে অনুভব
করে, চিন্তা করে, ভালবাসে, ভালবাসায়। সে মানুষকে দেখে, তার হৃদয়কে স্পর্শ
করে, চায় তার হৃদয়কে কেউ স্পর্শ করুক। কিন্তু এই ভ্রান্তিটাকেই কেন চলে
যেতে হবে?
সূর্য ডোবার সময় লাল আলোটাকে, যাকে আমার মতো মোহগ্রস্থ কেউ নাম দিয়েছে “লালিমা”- এইতো সেদিনও ভেবেছি দৈব, অপার্থিব। মনটা কেমন সুদূর অতীতে চলে যেতো। চাদেঁর রূপালি আলোটাকেও মনে হতো, সে আমাকে ধূয়েঁ দিচ্ছে পরম মমতায়, পূর্ণ স্নেহে- তার সবটুকু পবিত্রতা দিয়ে। আজ বিভ্রান্তি দূর হয়ে গেছে- আজ আমি জানি কোন সুদূর অতীত নেই, চাদেঁরও কোন পবিত্রতা নেই। মানুষের হৃদয়ও অন্ধ হয়, আর জীবন কখনো ফুলকে স্পর্শ করতে পারে না।
মহাকাল কি মোহের এই অধিকারটুকুও কেড়ে নেবার অধিকার রাখে?
সূর্য ডোবার সময় লাল আলোটাকে, যাকে আমার মতো মোহগ্রস্থ কেউ নাম দিয়েছে “লালিমা”- এইতো সেদিনও ভেবেছি দৈব, অপার্থিব। মনটা কেমন সুদূর অতীতে চলে যেতো। চাদেঁর রূপালি আলোটাকেও মনে হতো, সে আমাকে ধূয়েঁ দিচ্ছে পরম মমতায়, পূর্ণ স্নেহে- তার সবটুকু পবিত্রতা দিয়ে। আজ বিভ্রান্তি দূর হয়ে গেছে- আজ আমি জানি কোন সুদূর অতীত নেই, চাদেঁরও কোন পবিত্রতা নেই। মানুষের হৃদয়ও অন্ধ হয়, আর জীবন কখনো ফুলকে স্পর্শ করতে পারে না।
মহাকাল কি মোহের এই অধিকারটুকুও কেড়ে নেবার অধিকার রাখে?

No comments:
Post a Comment