বহুদিন, বহুদিন পর;
নিশ্চুপ সময়ের কেটে গেছে কতটা বছর-
তারও আগে, কোন এক আদিম সময়ে,
প্রাণ পেয়েছিলো প্রাণ;
মৌনতা ছিলো মুখরিত-
প্রাচীন সে শহরের ধূলো-বালু-দেয়ালের গায়ে।
বহুদিন আগে সে সময়ে-
আলোর ঝর্ণা ছিলো, শিশিরের বুকে রংধনু,
কুয়াশায় শ্বাস ছিলো, আজ তারা স্থানু-
শীতের নিশুতি জাগা ঝি ঝি পোকা, তারার মত,
তারা আজ মৃত;
বিভাবরী বয়ে চলে অতি দূর সানাইয়ের সুরে-
বিলীন প্রহরে,
তারাও হারিয়ে যায়- গোধূলীর হাতে হাত রেখে,
কারুকাজ খসে পড়ে বিস্মৃতির শুকনো পালকে,
রংহীন-প্রাণহীন-নিস্প্রাণ শোকে- যথারিতী,
মৃতের জগতে ভাসে ভুলে যাওয়া প্রাণের আরতি।
প্রাচীনা, তুমিও লীন, অতীতের রং মেখে গায়ে-
চির নতজানু হয়ে স্থির কোন সময়ের পায়ে।
চারপাশে চাঁদোয়ার নীল নিয়ে বিস্মিত ভ্রম,
চারপাশে রাতের অহম,
চারপাশে নীরবতা,
গ্রাস করে আগ্রাসী মানুষের চোখ
তাদের সকল কথা,
ভালোবাসা, ভালোলাগা, সুর, কথকতা,
হাজার বছর ধরে গড়ে উঠা শব্দের ঘর,
কোলাহলে মুখরিত জীবনের হাজার বছর।
সুপ্রাচীনা, হারিয়েছো, ধোয়াশায় ধূসর সময়ে,
দিকহারা যাত্রীর হতাশায় ক্লান্ত দু’পায়ে-
তোমার চিহ্ন রেখে;
বহুদিন প্রত্যাশা ভাঙ্গা শত বৃথা অভিমানে,
হিমালয় জমে আছে যেই সব মানুষের মনে
তাদের অশ্রু করে তোমার পথের সম্বল-
চলে গেছো সুপ্রাচীনা;
আমাদের মতো কেউ নেই- যে সময়ে, যেখানে।
চির নতজানু হয়ে স্থির কোন সময়ের পায়ে।
চারপাশে চাঁদোয়ার নীল নিয়ে বিস্মিত ভ্রম,
চারপাশে রাতের অহম,
চারপাশে নীরবতা,
গ্রাস করে আগ্রাসী মানুষের চোখ
তাদের সকল কথা,
ভালোবাসা, ভালোলাগা, সুর, কথকতা,
হাজার বছর ধরে গড়ে উঠা শব্দের ঘর,
কোলাহলে মুখরিত জীবনের হাজার বছর।
সুপ্রাচীনা, হারিয়েছো, ধোয়াশায় ধূসর সময়ে,
দিকহারা যাত্রীর হতাশায় ক্লান্ত দু’পায়ে-
তোমার চিহ্ন রেখে;
বহুদিন প্রত্যাশা ভাঙ্গা শত বৃথা অভিমানে,
হিমালয় জমে আছে যেই সব মানুষের মনে
তাদের অশ্রু করে তোমার পথের সম্বল-
চলে গেছো সুপ্রাচীনা;
আমাদের মতো কেউ নেই- যে সময়ে, যেখানে।

No comments:
Post a Comment