Wednesday, June 21, 2017

উত্থানের অপেক্ষায়















বন্ধু, এখনো খুঁজছো স্বস্থি সুপ্তির সুগভীরে
তরী ভেসে যায়, নাবিক এখনো তীরে!
উত্তাল বায়ু মাস্তুলে পালে তুলছে মাতাল গতি
আকাশে ভাসছে ধ্বংসের সম্মতি।


উদ্দাম ঝড়, কালো গহ্বর আঁধার চতুর্দিকে
নাবিক, হালটা ধরবে না সম্মুখে?
যাত্রীরা সব ভীত-বিহ্বল, অশ্রু প্লাবিত চোখ
খুঁজছে তোমায়। চাইছে আবার হোক-
দিগন্তে কোন শান্ত স্নিগ্ধ দ্বীপের অভ্যুদয়
দিশাহীন পথে আর বয়ে চলা নয়
প্রভাত রবির আলোকে স্নানরতা
নাবিক, তুমি কি আনবে না সেই স্থলটার সু-বারতা?

নাবিক, যাত্রী প্রস্তুত; তাই তোমার উঠার পালা
স্রোতের বাধাঁ হয় হোক চঞ্চলা
তুমিই তো চেনো সুদূরের পথ, নিশানার রংগুলো
এবার চোখের দৃষ্টি-ধনুক তোলো
ওপারে তাকাও খুঁজে ফেরো দেখো সূর্যের হাতছানি
আঁধার কাটবে তুমি জানো, আমি জানি।

নাবিক, তুমিই ভরসা এ জলধিতে
তুমিই তো জানো হাল ধরে রাখা বিদ্যুতে, ঝঞ্জাতে
তোমার পেশির শক্তি-চাবুক, রুদ্র-রোষটা হেনে
দিক ভুল করা তরীখানা তুমি লক্ষ্যেতে আনো টেনে
মুছে দাও ভীতু যাত্রীর ভয়, রুদ্ধশ্বাসে থাকা,
মৃত্যুর পায়ে মাথা নিচু করে রাখা;
তিলে তিলে মরা- অন্ধকারের নির্বোধ আক্রোশে।

নাবিক, তোমর চেতনা উঠুক ফুসে
ক্ষণকালের এই আচ্ছন্নতা তোমার পথের বাঁকে
তোমার চাইতে বেশি কি শক্তি রাখে?
আরেকটি বার হাল ধরে নাও, দিতে হবে পথ পাড়ি
যাত্রীরা ফের ফিরে পাক কান্ডারী।

No comments:

Post a Comment