Friday, August 31, 2018

আজ জাগবো প্রানের স্পন্দনে
















আজ জাগবো প্রানের স্পন্দনে,
আর কাল টেনে- ভুল পথপাণে,
দিন কাটবে না স্রেফ ক্রন্দনে।
আজ জাগবো প্রানের স্পন্দনে।

তাই, দুই চোখে আজ ছুটবে আগুন উচ্ছাসে,
পুড়বে যত স্বার্থ-বিধান, নতুন যুগের উদ্ভাসে।

ভাঙ্গবে বিভেদ, সীমার বেড়া,
অত্যাচারী শোষক যারা;
পুড়বে তাদের পাপের চিতায়, নিজের বোঝার বন্ধনে।
তার অত্যাচারের গান শুনে।
আজ জাগবো প্রানের স্পন্দনে।

আজ ধর্ম কাঁদে যন্ত্রনাতে,
নিজেই সে আজ ভীষন ফাঁদে,
ব্যবসা আর রাজনীতিতে, বিকোয় এখন-
খোদার বিধান, হয় পরিমাণ, তুচ্ছ টাকার লেনদেনে।
আজ মানুষ মরে সংঘাতে,
সব ভণ্ডরা পায় ভাত তাতে,
আর লক্ষ মায়ের কান্না ভাসে, তাদের প্রাসাদ প্রাঙ্গনে।
আজ জাগবো প্রানের স্পন্দনে।

আজ দেশটা ভাসে তন্ত্র ধরে,
মানুষ মরে অন্ধকারে,
ক্ষুধার জ্বালায় প্রাণ চলে যায় শান্তি খোঁজে কোনখানে?
যায় জীবন বৃথাই সন্ধ্যানে;
আর ভোট দিয়ে হয় মানুষ গোনা, মানুষ মরে দিন গুনে।
আজ জাগবো প্রানের স্পন্দনে।

আজ ভন্ডরা সব ভেক ধরে,
যায় দেশ জাতি সব উদ্ধারে,
কারোর কেবল চাই ক্ষমতা, কেউ বা সেথা-
ভীষণ ভীষণ টাইটেল দিয়ে নাম টানে,
তারা নিজের পেটই ভরছে কেবল, শুষছে এ দেশ আনমনে।
সবাই আছে মিথ্যে মজে,
ভন্ডদের এই গুঞ্জনে।
আজ জাগবো প্রানের স্পন্দনে।

আজ জাগবো যত ছন্নছাড়া,
ক্ষুণ্নহৃদয়, সর্বহারা,
যাদের হৃদয় নতুন দিনের স্বপ্ন দেখে-
শান্তি আনার গান জানে।
আজ ধরবো বাজি, মরতে রাজি,
শান্তি আনার পণ মেনে-
আজ জাগবো প্রানের স্পন্দনে।

আজ মুক্তি পাবে সহস্র প্রাণ,
মুক্ত হয়ে ছুটবে আযান,
যেখানে যে নিপীড়িত, দগ্ধাহত-
উৎপীড়কের গুণ টেনে;
তাই ভাঙ্গবো মানুষ মারার বিধান, নতুন যুগের উত্থানে।
সব ভন্ডদের আজ খুলবো মুখোশ, শুদ্ধ প্রাণের দিন চিনে।
আজ জাগবো প্রানের স্পন্দনে।
আজ জাগবো প্রানের স্পন্দনে।


(এই লেখাটি কাজী নজরুল ইসলামের আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে" কবিতাটির ছন্দকে হুবহু অনুসরণ করে লেখা হয়েছে। ছন্দের একটা এক্সপেরিমেন্ট বলা যায় আর কি। )

Wednesday, August 29, 2018

এখন চাইছি স্পর্শ তোমার













এখন চাইছি স্পর্শ তোমার
ছুঁয়ে থাকা আজীবন,
আমার হৃদয়ে খুঁজছি তোমার মন।

হতাশায় মোড়া যুগের অসুখে
বাঁচবো আমরা চোখে চোখ রেখে
যত বঞ্চনা, অভিমান ঢেকে
ভালোবেসে আমরণ।

তোমার কথার ছন্দ ভাসছে মগজের পরিধিতে
ভালোবেসে মন চাইছে তোমার ভালোবাসা বুঝে নিতে।

তোমার হাতটা বন্ধন হয়ে
নি:স্ব এ হাতে থাকুক জড়িয়ে
একসাথে শিখে নেবো অসময়ে
বেঁচে থাকা প্রতিক্ষণ।

Tuesday, August 28, 2018

ভুলে যাও












যত পারো ভুলে যাও-
চলে যাও যত পারো দূরে,
ভুলে যাও যদি পারো তুমি চিরতরে।

হয়তো কখনো একলা বিকেলে,
সকলের ভীড়ে মন একা হলে,
ভুলে যাওয়া কারো অশ্রু-
তোমার বিষাদে থাকবে ঘিরে।

হয়তো কখনো খুঁজবে কে রয়
ছায়ার মতোই পাশে,
কে যেন শোনায় ভুলে যাওয়া গান
ক্ষণিকের অবকাশে।

কখনো হয়তো রাতের আঁধারে,
দূর-বিভাবরী জাগাবে তোমারে,
ভাববে কেন এ হৃদয় ব্যকুল-
ভুলে যাওয়া এই সুরে। 

ঠাঁই












ঠাঁই খুঁজে নেবে অশান্ত মন, সন্ধ্যের কুয়াশাতে
সবকিছু ভুলে যেতে।

স্তব্ধ হয়েছে রাস্তা, শান্ত হয়েছে মন
ভ্রান্তি জড়ানো আশ্রয় খুঁজে ছুটেছে যে আজীবন
আলো-আঁধারের সীমানাকে ছুঁয়ে এখন সে নেবে বুঝে
পৃথিবীর প্রতি গল্পে সে গেছে কোন কথাটাকে খুঁজে?

শ্বাস ফেলে মৌনতা,
ফিসফিস করে হাওয়া
সন্ধ্যের তারা চেয়ে চেয়ে দেখে মানুষের চাওয়া-পাওয়া।

তার চোখে সমব্যথা-
রচে যায় কথকতা,
তার সাথে যার স্বপ্ন ভেঙ্গেছে, থেমে গেছে গান গাওয়া।
খোঁজে অভিমানী মন যারা কাঁদে ক্লান্ত, শুণ্য হাতে
সবকিছু ভুলে যেতে।

চাইছি আলিঙ্গন


এখন চাইছি স্পর্শ তোমার
চাইছি আলিঙ্গন-
শরীরে আমার খুঁজছি তোমার মন।

এখন চাইছি ঘুমভাঙ্গা সুখে,
তুমি শুয়ে এই বুকে মাথা রেখে,
তোমার দু’ঠোট, কপালটা ঢেকে-
খুঁজে পেতে শিহরণ।

তোমার চুলের গন্ধ ভাসছে মগজের পরিধিতে,
উন্মুখ হয়ে, কেবল তোমার গভীরতা বুঝে নিতে।

তোমার হাতটা বন্ধন হয়ে,
বুক, কাঁধখানা থাকুক জড়িয়ে,
ছড়িয়ে পড়ুক ধীরে পায়ে পায়ে-
মিলনের আমন্ত্রণ।

Tuesday, August 21, 2018

স্বপ্ন














স্বপ্নেই যদি আসবে আমার দুয়ারে,
তাহলে কেবল স্বপ্নই থাক-
চেনা চেতনাটা হয়ে নির্বাক,
ভাসাক নিজের সম্বলটুকু
সপ্নের সুখ-সায়রে।
থাকবে আমার দুয়ারে।

কোলাহলগুলো থাকবে না মোটে এখানে,
শান্ত সবুজ শান্তির ছায়া-
ছড়াবে নিরবে তার মোহ-মায়া,
হারিয়েই যাবো, যেখানে ইচ্ছে
কোথা যেতে হবে কে জানে?
থামবোনা মোরা এখানে।

বন্ধন থেকে মুক্তির পথে এগোবো,
চেনা-পরিচিত সব চাওয়া পাওয়া-
ছুড়ে ফেলে শুধু রবে তরী বাওয়া,
প্রত্যাশাগুলো ভুলে যাবো সব
ভাববো না পরে কি পাবো।
স্বপ্নের পথে এগুবো।

ভালোবাসা রবে মনে বেজে চলা বাঁশিতে,
মিশে রবে তারা ধূলোয়, বাতাসে-
আরো ভালোবাসা পাওয়ার হুতাসে,
ভরে রবে তার সুরে গানে আর
তোমার মুখের হাসিতে।
একই সুরে বাজা বাঁশিতে।

অভিযোগ সব হারিয়েই যাবে অচেনায়,
অভিমান যদি নিতে চায় ঠাঁই-
প্রেমের আলোতে করে রোশনাই,
সযতনে তারে সাজাবো হৃদয়ে
মোহ-বিমধুর বেদনায়।
প্রেম খুজেঁ পাবো অচেনায়।

হারবো না আর হারিয়ে ফেলার চিন্তায়,
পৃথিবীর সব কুটিল নিয়ম-
অযতনে পড়ে রবে অক্ষম,
তোমার আমার হাত ধরে চলা
হয়ে রবে অমলিন তায়।
ভালোবাসা রবে চিন্তায়।

স্বপ্ন থাকবে- স্বপ্নেই তুমি আসবে,
চেনা পথে নয় অচেনাই রবো-
স্বপ্নেতে চেনা পথটা হারাবো,
এইখানে যত পারো ঘৃণা করো
স্বপ্নে তো ভালোবাসবে।
ভালোবাসতেই আসবে।

বিভেদের সুরে বাঁধা পৃথিবীর ছন্দ,
স্বপ্ন করে না পরোয়া সেখানে-
সে শুধু নিখাদ ভালোবাসা জানে,
তার কাছে জেনো থাকবেনা কোন
স্বার্থের প্রতিবন্ধ-
মৃত পৃথিবীর ছন্দ।

স্বপ্নের মাঝে ফিরে চলি চলো দু’জনে,
লোকভয়, আর লক্ষ্যের ত্রুটি-
সমাজের আর কালের ভ্রুকুটি,
ছুড়ে ফেলে দিয়ে হারাই এবার
স্বপ্নের মহা-যোজনে।
তুমি আর আমি দু’জনে। 

Sunday, August 19, 2018

বজ্জাত-গীতি















মোরা বাঁদরের মতো বজ্জাত
করি অবিরত মহা-উৎপাত
মোরা ঠেলা-গুতা-প্রুফ নির্ভয়
ছুটি দিক-দিগন্তে দিনরাত।

মোরা চিৎকারে করি তোলপাড়
আর কান্নায় সব জেরবার
মোরা বায়ুর সম, পিছলাতম
ধরতে গেলেই সংঘাত।

মোরা পাগলা বিলাই খ্যাচ খ্যাচ
খুলি কাছা যার পাই ঘ্যাচ ঘ্যাচ
ঘ্যাচ ঘ্যাচ ঘ্যাচ, খ্যাচ খ্যাচ খ্যাচ
খ্যাচ খ্যাচ খ্যাচ, ঘ্যাচ ঘ্যাচ।

মোরা ত্যাঁদরামি করি বাড়িতে
থামাথামি নেই কোন ঝাঁড়িতে
অন্যেরা সব শঙ্কায়-
কখন এগোবো, পদধূলি দেবো
করে শান্তির বানী উৎখাত।

স্পর্শ















সহজ নিয়ম- শুধু আসা, শুধু যাওয়া,
না বলা কথায় জমে জমে মেঘ হওয়া,
কখনো সে চায় আসুক ব্যতিক্রম-
তোমার স্পর্শ ভেঙ্গে দিক এ নিয়ম;
ভেজাবে তোমার অশ্রু তার প্লাবণে।

ছোট ছোট কত আবেগের হাহাকার,
বর্ণিল হয়ে লুকিয়েছে সমাচার,
ছুঁয়ে দেখো তারে, নিদারূণ উচ্ছাসে-
রাঙ্গাবে তোমার রংহীন ক্যানভাসে;
রংধনু হয়ে রাঙ্গাতে যে সেও জানে।

কত আশা, কত স্বপ্ন থাকছে জমে,
পৃথিবীর মৃত নিয়মের পরিনামে,
ছুঁয়ে দেখো মিছে স্বপ্নের হিমালয়-
তুষারের মতো ঝরে যাবে এ হৃদয়;
ঝর্ণা হয়েই গেয়ে যাবে আনমনে।

ঢেউহীন আজ ভালোবাসা বারিধীটা,
শান্ত জলের নিশ্চুপ কথকতা,
গভীরতা মাপে বিষাদে-বিরহে-শোকে-
ছুঁয়ে তোল ঢেউ, তার নিশ্চল-লোকে;
ভাসাবে তোমার হৃদয়টা সবখানে।

অদেখার তুমি, অনুভবে আছো মিশে,
পৃথিবীর মাটি- চাঁদ হলে পরিহাসে,
নেমে এসো, ফেলো এখানে পায়ের ছাপ-
পৃথিবীটা হোক জোৎস্নায় সয়লাব;
তুমি আমি পাবো পূর্ণতা সেই স্নানে।

মোল্লা, ও মোল্লা রে




















একটা সময় তোরে দ্বীনের কান্ডারি ভাবতাম
তোর কথাতেই ধর্ম চলে, এই কথা মানতাম
তোর মিষ্টি মধুর ওয়াজ শুইন্যা পড়ান জুড়াইতাম
তোরে একটু সেবা করার লোভে দাঁড়াইয়্যা থাকতাম।।

তোর দাড়িঁ, টুপি লেবাস দেইখ্যা মুগ্ধ হইয়্যা যাই
ভাবি তোর কাছে না থাকলে ধর্ম আর কোথাও নাই
আগে ভাবছি কত, ধর্মটা তোর ভালোবাসা রে
আজ দেখি তুই ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফাঁদিস রে।

ও মোল্লা, ও মোল্লা রে, তুই অপরাধী রে
আমার সহজ সরল ইসলামটারে দে ফিরাইয়্যা দে
এই ধর্ম নিয়্যা ব্যবসা করার অধিকার দিলো কে
মোল্লা, তুই বড় অপরাধী, তোর ক্ষমা নাই রে।

তোর হালাল-হারাম বয়ান শুইন্যা আফসোস লইতাম
তোর মতো পাক বান্দা যদি আরেকটা পাইতাম
ভাবছি যে তুই কষ্ট কইরা হালাল রুজি খাস
তুই ভালোবাসিস রাসুলরে আর আল্লাহরে ভয় পাস।। 

আজ কোরআন খুলে দেখি, এ দ্বীন সবার তরে দান
তাই সহজ সরল করে দিছেন আল্লাহ সুবাহান
তুই তাফসীরে আর মাসায়েলে, জটিল করে তায়
কস ধর্ম নিয়ে এখন নাকি ব্যবসা করা যায়।

ও মোল্লা, ও মোল্লা রে, তুই অপরাধী রে
আমার সহজ সরল ইসলামটারে দে ফিরাইয়্যা দে
এই ধর্ম নিয়্যা ব্যবসা করার অধিকার দিলো কে
মোল্লা তুই বড় অপরাধী, তোর ক্ষমা নাই রে।

দ্বীনের বিনিময়কে হারাম করেছেন আল্লাহয়
আগুন খাওয়া বইল্যা দিলেন ধর্ম ব্যবসায়
তিনি নাপাক বলেন তারে যে নেয় ধর্মে বিনিময়
আজ, দেখছি সে কাজ হালাল বলে তোর ফতোয়ায় রয়।।

নামাজ, ওয়াজ, মুর্দা-দাফন, কোরআন খতমটায়
তোরে পয়সা দেয়া ছাড়া এখন সবাই নিরুপায়
রোজ হাশরের ভয় কি মনে একটা ফোঁটাও নাই
পয়সা দিয়্যা দোযখরে ক্যান করিস রে কামাই।

ও মোল্লা, ও মোল্লা রে, তুই অপরাধী রে
আমার সহজ সরল ইসলামটারে দে ফিরাইয়্যা দে
এই ধর্ম নিয়্যা ব্যবসা করার অধিকার দিলো কে
মোল্লা তুই বড় অপরাধী, তোর ক্ষমা নাই রে।

Tuesday, August 14, 2018

আশ্রম















একদিন হেঁটে যাবো, তোমার হাতেই হাত রেখে,
সাবলিল মানুষের স্রোত ভেঙ্গে, বহুদূরে-
বিকেলের রোদজ্বলা বালিতে পড়ে আদিম পায়ের ছবি
সার বেঁধে আছে,
যেখানে ঝিনুক-সারি, স্থবির এক সময়ের মতো;
সন্ধ্যের আবছায়া আগলিয়ে রাখে যাহাদের,
স্নেহের কোমল ছায়া ছুঁয়ে আছে খুব সহজেই,
পরম প্রেম যেন সময়ের সাথে পরিণত।
যেখানে হিসেব নেই,
প্রাচীন নাগরিকতা শুধু প্রচ্ছন্ন স্মৃতি হয়ে থাকে।

ইট-কাঠ-পাথরের দেশে,
আমরা চলেছি খুব, প্রাণ নিয়ে শ্বাসে-প্রশ্বাসে;
শুধু ব্যস্ততা, ভীড়, আর যত চেনা কোলাহলে,
এ হৃদয় বলে-
রাতের নি:শব্দতা হরণ করেছে যে সময়-
এই দেশ- আমার তো নয়!
যেখানে জীবন আর মৃত্যুর ব্যবধান নেই,
যেখানে হৃদয় তার নাগাল পায়না কিছুতেই,
মৃত শামুকের মতো পড়ে থাকে লুন্ঠিত শত শত প্রাণ,
যেখানে ঘৃনায় আর ভালবাসাটাতে নেই কোন ব্যবধান-
সে দেশ কি করে আমার হয়!

তাই একদিন হবো তুমি আর আমি,
সেই অবগুন্ঠিত চির-পথের পূজারী।
যেথা দুপুরের ঝিলে শান্ত-শালুক পাতাগুলো-
মৌন সাধুর মতো ভাসে,
যেখানে রৌদ্দুর আসে-
কথকতা নিয়ে তার সোনালি স্বর্ণ-হৃদয়ের;
যেখানে হাসেঁর সারি সুদূরে ঠিকানা খোজেঁ-
জলের বুকেতে ফেলে গল্পের আল্পনা তার সময়ের।
যেখানে বাতাস গায়,
পৃথিবীর স্পন্দন তার ভাষা সহজেই বোঝে।

অথবা কুয়াশা নামে মাতাল ঘ্রাণটা বুকে ধরে,
হারানো প্রেয়সী যেন ফেরে-
জড়ায় সে পরম আদরে কোন সকাতর প্রেমে।
পাওয়ার পুলকে নামে,
মাঠে-ঘাটে-প্রান্তরে চুপিসারে,
যেন অজানিত কোন রহস্য মেখে তার গায়ে।
সময় হারায় সেই অসীম সময়ে-
অবারিত জগতটা উন্মুখ হয় তার ‘পরে।

কিংবা দুপুরে ডাকা ঝিঁ ঝিঁ পোকা- যেথা সখা হয়,
সেখানে দুপুর- যেন চিরতরে স্তব্ধ সময়,
সেখানে গাছের সারি শ্বাশত আল্পনাতেই চোখ রাখে,
অপলকে-
মৌনতা যেথা ছবি আঁকে,
তোমার আমার সেই ‘হেঁটে যাওয়া অসীমের দিকে’।
যেখানে শান্তি ডাকে-
শান্ত-প্রাণের যত ভুলে যাওয়া মানব আর তার মানবীকে।

বিকেলের সূর্যটা ভালোবেসে সাজায় আশ্রম,
ঘাম-ধুলো-মানুষের শ্রম-
যেই দ্বারে পায় অবসর।
যে সময়ে নেই- ‘তারপর’;
শুধু আছে প্রাণ, পূর্ণতা সেই মাটির আঘ্রাণে।
মিহিন ধূলোর রাশি উড়ে চলে মোদের দোসর,
‘ভালোবাসা’ বলে যায়, ফেলে যাওয়া মৃতের স্মশানে।
বলে যায়, চেয়ে শুধু দেখো-
আর রেখো মনে,
তোমরা আমাদের আর আমরা সবার সন্ধ্যানে।

সত্যযুগ












আমরা এসেছি শত দল সেনা নতুন পৃথিবী গড়তে আমরা এসেছি দিক দিগন্ত আনন্দময় করতে। আছে শিরে সদা সত্যের তাজ তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দুরন্ত বাজ ধরার ধূলিতে নামাবো স্বর্গ সঁপি জান নিঃশর্তে। সকল ধেয়ান প্রাণ ধন মান দিয়ে গাই মানুষের জয়গান বুকে প্রত্যয় সুদৃঢ় মহান নব্যযুগ রবি আনতে। রুখে দেবো আজ যত অবিচার অপশক্তিরে করে সংহার যাব আগামীতে ছুটে দুর্বার সত্যযুগের প্রান্তে।


এই গানটি আমার এবং বন্ধু রিয়াদুল হাসানের যৌথভাবে লেখা।

Sunday, August 12, 2018

চায়না এ মন মেনে নিতে




















চায়না মন মেনে নিতে
আমিই কেবল বাসছি ভালো, ভাবছি তোমায় দিনে রাতে


সবার মাঝে থেকেও দেখি-
হৃদয়-পদ্ম একলা তটে,
তুমি কোথায় অচিন-পারে, আমায় ফেলে ভিন্ জগতে


আকাশ, বাতাস, সাগর, নদী,
ব্যকুল-পরাণ আমার সাথে,
ক্ষুন্ন মনে, তারাও ভাবে-
কি হবে এই ঘোর-বরাতে!


তোমার দিকে তাকাই আশায়
করবে মনে কোনোমতে,
বৃথাই ডাকি, জানি তোমার গলবে না মন- কথাতে


একটা বিশেষ সুর, যার অনেকগুলো ভার্সন আছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে- সবগুলো ভার্সনই প্রায় সমান জনপ্রিয়। মনরে কৃষিকাজ জানো না, আমি শুধু রইনু বাকি, মায়ের এমন বিচার বটে, চাইনা মাগো রাজা হতে, ইত্যাদি। এই গানের সুরটা যখনই যে ভার্সনেরই শুনি, আমাকে একইভাবে বিহ্বল করে দেয়। তাই, রামপ্রসাদী গানের ছন্দের প্যাটার্নে ও সুরে এই গানটা লিখে রাখলাম। নিছক প্রেমের গান- সম্ভবত প্রেমের গানে এই সুর- এটাই প্রথম।