আর কাল টেনে-
ভুল পথপাণে,
দিন কাটবে না
স্রেফ ক্রন্দনে।
আজ জাগবো প্রানের
স্পন্দনে।
তাই, দুই চোখে
আজ ছুটবে আগুন উচ্ছাসে,
পুড়বে যত স্বার্থ-বিধান,
নতুন যুগের উদ্ভাসে।
ভাঙ্গবে বিভেদ,
সীমার বেড়া,
অত্যাচারী শোষক
যারা;
পুড়বে তাদের পাপের
চিতায়, নিজের বোঝার বন্ধনে।
তার অত্যাচারের
গান শুনে।
আজ জাগবো প্রানের
স্পন্দনে।
আজ ধর্ম কাঁদে
যন্ত্রনাতে,
নিজেই সে আজ ভীষন
ফাঁদে,
ব্যবসা আর রাজনীতিতে,
বিকোয় এখন-
খোদার বিধান,
হয় পরিমাণ, তুচ্ছ টাকার লেনদেনে।
আজ মানুষ মরে
সংঘাতে,
সব ভণ্ডরা পায়
ভাত তাতে,
আর লক্ষ মায়ের
কান্না ভাসে, তাদের প্রাসাদ প্রাঙ্গনে।
আজ জাগবো প্রানের
স্পন্দনে।
আজ দেশটা ভাসে
তন্ত্র ধরে,
মানুষ মরে অন্ধকারে,
ক্ষুধার জ্বালায়
প্রাণ চলে যায় শান্তি খোঁজে কোনখানে?
যায় জীবন বৃথাই
সন্ধ্যানে;
আর ভোট দিয়ে হয়
মানুষ গোনা, মানুষ মরে দিন গুনে।
আজ জাগবো প্রানের
স্পন্দনে।
আজ ভন্ডরা সব
ভেক ধরে,
যায় দেশ জাতি
সব উদ্ধারে,
কারোর কেবল চাই
ক্ষমতা, কেউ বা সেথা-
ভীষণ ভীষণ টাইটেল
দিয়ে নাম টানে,
তারা নিজের পেটই
ভরছে কেবল, শুষছে এ দেশ আনমনে।
সবাই আছে মিথ্যে
মজে,
ভন্ডদের এই গুঞ্জনে।
আজ জাগবো প্রানের
স্পন্দনে।
আজ জাগবো যত ছন্নছাড়া,
ক্ষুণ্নহৃদয়,
সর্বহারা,
যাদের হৃদয় নতুন
দিনের স্বপ্ন দেখে-
শান্তি আনার গান
জানে।
আজ ধরবো বাজি,
মরতে রাজি,
শান্তি আনার পণ
মেনে-
আজ জাগবো প্রানের
স্পন্দনে।
আজ মুক্তি পাবে
সহস্র প্রাণ,
মুক্ত হয়ে ছুটবে
আযান,
যেখানে যে নিপীড়িত,
দগ্ধাহত-
উৎপীড়কের গুণ
টেনে;
তাই ভাঙ্গবো মানুষ
মারার বিধান, নতুন যুগের উত্থানে।
সব ভন্ডদের আজ
খুলবো মুখোশ, শুদ্ধ প্রাণের দিন চিনে।
আজ জাগবো প্রানের
স্পন্দনে।
আজ জাগবো প্রানের
স্পন্দনে।
(এই লেখাটি কাজী নজরুল ইসলামের আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে" কবিতাটির ছন্দকে হুবহু অনুসরণ করে লেখা হয়েছে। ছন্দের একটা এক্সপেরিমেন্ট বলা যায় আর কি। )











