সময় কাঁদছে- বুকে তার ক্ষত,
জীবন চলছে তবু প্রথামত,
রীতিমতো মরে- ঘরে ও ভাগারে, মরবার কথা যার।
আমি তুমি হাসি, সকাল সন্ধ্যে-
ভালোবাসাবাসি করি আনন্দে,
ধর্ষিতা হয়ে মৃত্যুটা লেখা ফাতেমার, সুফিয়ার।
ঘুম থেকে উঠে পত্রিকা পড়ি,
মূল্যবোধের বোধে সুড়সুড়ি,
তারপরে এই আবাল পৃথিবী সংবাদে রাখি গুঁজে।
দুপুরে টিফিনে কোর্মা পোলাও,
পেঁয়াজের সাথে শসাদুটো নাও,
উদ্বাস্তুর কান্না- না যেন ভেসে আসে ভুরিভোজে।
খাবো, দাবো আর বগল বাজাবো
চোখে, জিভে শুধু লালসা সাজাবো,
বানীতে গেঁজাবো- শ্রমঅধিকার, নারীদের অধিকার।
ধর্মের নামে দিয়ে যাবো ফাঁকি-
আতরে লেবাসে করে মাখামাখি,
এমন হুজুরে ভন্ডামি বলে সাধ্য কি স্রষ্টার!
নীতিকথা দিয়ে ছোটাবো ফোয়ারা,
আমদানি রবে বাঁশ আনকোরা,
চিন্তায় রবে- কোথায় কখন গুজবো সুযোগ-সই।
আমি সন্ন্যাসী, উদাসীন মন-
স্বার্থপরেরা কি বলে কখন,
সেই কথাগুলো ভাববার মতো অবসর থাকে কৈ?
দেশ ভেসে যাক- কিবা আসে যায়?
আমার ব্যালেন্স করেছি বিদায়-
টাকা-কড়ি বাড়ি, সব আছে জমা পেয়ারের সুইডেনে।
মানুষ ভাসছে গৃহহীন তারা,
বড় বিচ্ছিরি তাদের চেহারা,
বড় বেশি খায়- অযথা হাঁপায়, রোগে শোকে ক্রন্দনে।
ক্ষুধা নিয়ে তারা কত শোকাহত,
না খেয়ে কভু কেউ মরেনি তো!
তোদের খাবার মেরেই করেছি আলিশান পথঘাট।
আমার প্রাসাদে তোদেরই তো ঘাম-
এতেই সাজবে তোদের সুনাম।
আরো ভুখা থাক, সোনা দিয়ে গড়ি আমাদের তল্লাট।
সময় কাঁদছে- যুগের অসুখে,
তাতে আর কেন মরি মাথা ঠুকে!
দ্রৌপদীর শাড়ি খুলবেই এই যুগের দুর্যোধন।
পান্ডব সব ঘুমিয়েই থাকো-
এখনো জাগার ক্ষণ হয়নিকো,
নয় বড়জোর আমাদের মতো শাড়ি টানো প্রাণপণ।

No comments:
Post a Comment