পরশ:
বললে তুমি বাসবে ভালো শুধুই মনে মনে-
শুনে আমি মুচকি হাসি, অতি সংগোপনে।
মৌমাছিটার গান শুনে কি ফুল ফুটেছে বনে?
মধুর সাথে পরাগরেণুর চুক্তি কে না জানে?
বললে তুমি বাসবে ভালো সত্যি দূরে থেকে,
যেমন করে দূরের বাঁশি কাঁদায় হৃদয়টাকে।
শুনে আমি প্রশ্ন করি মনের সঙ্গিনীকে,
বাঁশি কেন বাঁশুরিয়ার অধর ছুঁয়ে থাকে?
বললে তুমি আমি নাকি বড্ড বেশি বেশি,
বাড়াবাড়ি করলে পাবো দুঃখ রাশি রাশি।
শুনে আমি অট্টহেসে বলি, "হে প্রেয়সী –
দুঃখকে ভয় লাভ কী করে দুঃখ ভালোবাসি।"
পড়ে থাকা লোহায় যেমন মরচে ধরে যায়-
স্রোত হারালে বালুর চরে নদী হোঁচট খায়।
তেমনি ভালোবাসা বাঁচে, যতন ও চর্চায়
প্রেমের ধরা হৃদয় এবং হাতের পরশ চায়।
অপরশ: .
বেশ বলেছো, ভাবছি আমি কোথায় ভালোবাসা?
মিলন হলেই যায় কি মিটে মনের তিয়াসা?
আকাশ, বাতাস, মাটি ও ফুল শুনলে তাদের ভাষা,
দেখবে সেথায় সবটা দেবার নিষ্কাম প্রত্যাশা।
ধরার নিয়ম মেনেই পরাগ মৌমাছিতে লাগে,
ভালোবাসা কিন্তু সেথাও কবির মনেও জাগে।
বাঁশি যেমন বাশুরিয়ার পরশ অনুরাগে,
সুরের মাদকতা ছড়ায় বসন্তেরই রাগে।
মিলন হতে পারে যখন শরীর যেমন চায়,
এইটুকুতে ভালোবাসার সীমান্ত আটকায়?
মনের মাঝে অসীম ভুবন, চাওয়ায়-পাওয়ায়,
তার সীমানা বেঁধে কে দেয় অসীম ধৃষ্টতায়!
ভালোবাসার চর্চা, যতন- ভালোবাসায় বাঁচে
মনের গহীন বন্দরে তার রাজত্ব বিরাজে।
হাতের পরশ থাক বা না থাক লহরী তার বাজে,
নিকষিত প্রেমের ছোঁয়ায় শুদ্ধ প্রেমের সাজে।
পরশ এবং অপরশ অংশ যথাক্রমে লিখেছে, সুধাচোর এবং ডা. শাহীন।

No comments:
Post a Comment