কখনো ভাবে নি সে, এই ঘর এরকম হবে-
তিলে তিলে গড়া ঘর, এইভাবে আগুনে পোড়াবে,
ভাবেনি ভাসবে জলে বুলেটে বিদ্ধ মৃত ছেলে,
ভাবেনি ধর্ষিত মেয়ে কাৎরাবে মৃত্যুর কোলে;
ভাবেনি সময় তার এরকম বেমানান হবে।
ভাবেনি সে ধর্মেও আছে কিছু অপরাজনীতি;
মানবতা নয়- তার অস্ত্রের সাথে সম্প্রীতি,
ভাবেনি এভাবে সে নিজদেশে হবে পরদেশি ,
তন্ত্রের প্রেম মানুষের চেয়ে কাঁটাতারে বেশি,
ভাবেনি এমনও হতে পারে কোন আইনের রীতি।
আমিও ভাবি না আজও- তারই মতো চোখ কান বুঁজে,
মানুষ হয়েই বাঁচি মানবতা বিহীন সমাজে;
রোহিঙ্গা ছিলো তারা- আমার কি আসে যায় তাতে,
সুখ-সন্তান আর ভালো ঘর আমার বরাতে,
ভাবিনা- আমার মতো সেও ছিলো শান্তির খোঁজে।
ভাবিনা- একই রীতি আমার ঘরের চারপাশে
একই তন্ত্র আর জাতিভেদ তাকায় সরোষে,
আজ হোক কাল হোক হানা দেবে আমার উঠোনে-
স্মশান হবে এ ঘর সীমাহীন লোভের আগুনে
ভাবিনা, কেবল চোখে মরিচীকা-সুখ চলে ভাসে।
এখনো সময় আছে, হাতে হাত ধরে হাঁটি চলো,
এক হয়ে রুখে দেই, ষড়যন্ত্রের দাঁতগুলো,
মানবতা নিয়ে গড়ি দেয়ালটা বেঁচে থাকবার;
প্রতিজ্ঞাতে হোক- ”এক জাতি তোমার আমার,
একসাথে হাঁটবো, তা আঁধারটা হোক যত কালো”।

No comments:
Post a Comment