মেঠোপথ যায় হারিয়ে যেভাবে দিগন্তে মাথা রেখে;
মধ্যরাতের কুয়াশারা ভাসে কি কথা বলবে বলে!
নিশ্চুপতায় হাহাকার মেখে ডাকে সে দিগঞ্চলে।
দেখতে চেয়েছি, শিশিরে ও ঘাসে কেমন মিতালী পেতে,
রামধনুটার আবীর ছড়ায় -কী কথা লুকোনো তাতে!
দুপুরের রোদ কীভাবে এতটা নির্জনতা ডেকে আনে-
ঝিঁ ঝিঁ পোকাদের সঙ্গত কোন সঙ্গীত যায় বুনে!
দেখতে চেয়েছি, ছোট্ট ছেলের ধুলোতে গড়ানো শেষে,
বিকেলের ঐ লালিমাকে কোন বার্তা পাঠায় হেসে,
দেখতে চেয়েছি কার টানে ফিরে ফিরে আসে ধ্রুবতারা,
কোন জন্মে সে এই পৃথিবীতে হয়েছে বন্ধুহারা!
চাঁদের আলোতে রুপালি নদীর শান্ত জলের টানে,
দেখতে চেয়েছি কত কথা রাখা, আছে তার কত মানে;
পৃথিবীর সব কাব্য চেয়েছি লিখতে তোমার সাথে,
চেয়েছি প্রেমের অক্ষর থাক পদ্যের ধারাপাতে।
কবে কোথাকার কোন বিরহীর মৌনতা বুকে নিয়ে,
সন্ধ্যের ছায়া চুপিসারে নামে- রাতের বিরহ ছুঁয়ে,
ছুঁতেই চেয়েছি- যা কিছু আমার, যা কিছু আমার নয়-
বন্ধুর চোখ যেভাবে ছুয়েঁছে ধ্যানরতা মেঘালয়।
তোমার সাথেই বুঝতে চেয়েছি- কীভাবে দেখবো সব,
কীভাবে জ্বলবে সবার হৃদয়ে চেপে থাকা বিপ্লব।
ভেঙে যাওয়া সব মানুষ চিনবে নিজেদের অধিকার,
অন্ধের চোখে আলোর মশাল জ্বলবে আরেকবার।
তোমার চোখেই দেখতে চেয়েছি- আমার মনের কোণ,
সব পাড়ি দিয়ে ছুটে পাওয়া কোনো ভীষণ উত্তরণ,
অনাদিকালের ইতিহাস, সব প্রশ্নের উত্তর-
যে চোখে রাখা তোমার আমার কোটি জন্মান্তর।

No comments:
Post a Comment