[সুমন চট্টোপাধ্যায় (কবীর সুমন) আমার সেই কৈশোর থেকে আমাকে বহু কিছু দিয়ে যাচ্ছে। আজকে তার পদ্য ও সুরের হাত ধরেই মধ্য বয়সে এসেছি, গিটার হাতে নিয়েছি, জীবনটাকে দেখে যাচ্ছি। তাকে দেবার মতো আমার কিছু নেই। কেবল ভালোবাসা ও নিছক তারই কথাগুলো সাজিয়ে কয়েকটা লাইন ছাড়া……]
এভাবে
কেবল সুমনই লিখতে জানে,
জীবনের
ছবি পদ্যের গলিপথে!
সুমনই
কেবল সঙ্গীত বয়ে আনে-
যে একা থাকে আমার একার সাথে।
সুমনই
শেখায় বলতে ‘তোমাকে চাই’,
হৃদয়ের
লাভা ছড়াতে বিশ্বজুড়ে,
সে জানে
কতটা ভালো আবছায়াটাই
আঁধারের
কোণে মোমের আলো সাথে করে।
সে শেখায়
আগুন জ্বালতে আরেকবার
সে শেখায়
বাঁচতে- মরে যেতে যেতে ফের,
সে পথিক-
শান্ত শীতল সন্ধ্যেটার,
গাছের
ছায়ার, ধুলো-ভরা পার্কের।
হাল না
ছাড়ার ডাক আসে তারই ঠোঁটে,
অমরত্বের
প্রত্যাশা হেলা করে,
চেনা দুঃখ,
চেনা সুখ অস্ফূটে-
বেঁচে
আছে শুধু তার সুরে ভর করে।
নাগরিক
এই কবিয়াল ঠিকই জানে,
রেখাবের
রূপ, সকালের রোদ্দুর,
প্রথম
পাওয়া, না পাওয়াটার মানে;
বুকের ভেতরে বৃষ্টি পড়ার সুর।
গানওলা,
তুমি আরেকটা গান গেও,
তোমার
হাতেই আমার বেহালা রাখা,
ফাটকাবাজির
দিনগুলো ভুলে যেও,
সুরে বেঁচে
থাক মানুষের বেঁচে থাকা।

No comments:
Post a Comment