পৃথিবী
ধূসর হয়ে আছে,
মৃতের
সখ্যতা নিয়ে কাল তার বয়ে চলে যায়,
চিৎকার,
হাহাকার, ক্রন্দন – সব মিলে যায়-
ভাগাড়ে
নিথর থাকা নিস্তব্ধতাটির কাছে।
ইতিহাস
বুনে চলে,
অনাদিকালের
স্রোতে চলমান পাওয়া ও না-পাওয়া,
ইতিহাস
হয়ে রয়,
চেতনাবিহীন
সব মানুষের চুপচাপ শুধু মরে যাওয়া,
ইতিহাস
বেঁচে থাকে, শত বিস্মৃতিকে ভর করে-
সবকিছু
ভেসে চলে যথারীতি যুগের জোয়ারে,
তুমি,
আমি, আমাদের পর-
আর যারা
সাজাবে বাসর,
শব্দ ও
কথামালা যারা যারা গেঁথে যাবে; বিভাবরী হয়ে-
সময়ের
পায়ে,
‘অতীত
কাহিনী’ তাকে বলা হবে...তারপর,
...তারপর
বিস্মৃত বাসর।
তবুও থাকবো
বেঁচে,
হাওয়ায়
যেমন ভাসে ইথারের চোরা খুনসুটি,
কর্মযজ্ঞ
শেষে, সময় যখন দেবে ছুটি
আঁচড় থাকবে
মহাকালে – আমরা ছিলাম,
নির্জীব
প্রান্তরে একটি ক্ষণের কোনো উচ্ছলতার মাঝে,
ছিলো
এই নাম-
প্রাণের
স্পন্দন যে আনতে চেয়েছে কোনো ভোরে,
ক্ষীয়মান
গ্রামে ও নগরে-
শান্তি
আনার পণ নিয়ে একদিন জেগেছিলো তারা,
ছোট্ট
বীজের মতো মন, ক্ষুদ্র চেতনা তার
বিবর্ণতার
বুকে রঙিন বিন্দু হয়ে দিয়েছিলো সাড়া-
মহাকালের
মাঝে একটি স্রোতের এক সৃষ্টি-প্রয়াসে,
যেখানে
প্রাণের গুঞ্জন ভেসে আসে-
যেখানে
শান্তি আসে,
স্বস্থিরা
যাকে ভালোবাসে।
সেখানে
থাকবে নাম-
অসীমের
পানে চলা অভিযাত্রীর সারি থেকে-
একটি চেতনাবিন্দু,
গিয়েছে তাহার ছোঁয়া রেখে,
একটি স্পন্দন
আর, আলোর একটি ক্ষীণ রেখা
রয়ে যাবে
আঁকা-
ইতিহাস
মুছে যাবে, মুছে যাবে প্রজ্ঞায় সাজা কথামালা-
তবু সেই
বিদায়ের বেলা,
একটি বিন্দু
বুকে- টের পাবে একা মহাকাল,
একদিন
এখানে ছিলো-
বিবর্ণ
পৃথিবীতে রঙিন সকাল।

No comments:
Post a Comment