সময় হয়নি
এখনো কি তবে, এখনো কি রাত বাকী!
শত শত
যুগ আঁধারে কেটেছে, রাত্রি ফুরোবে না কি?
অবিচারে
কাঁদে পৃথিবীর ধূলো,
অশুভের
ছায়া বড় জমকালো
তন্দ্রার
ঘোরে চেতনারা সব মৃত্যুর মুখোমুখি,
শত বছরের
জঞ্জাল আরো বয়ে যেতে হবে নাকি?
সত্যের
বাণী ম্লান হয়ে আছে মিথ্যের বেসাতিতে
বহু অশ্রু
বয়েই চলেছে চড়া দামটুকু দিতে,
ধর্মের
বাণী গল্পকথায়,
পেটপূজকের
জাল ফতোয়ায়,
আটকে রয়েছে,
গা ভাসিয়েছে- ব্যবসার ধারাপাতে,
শান্তির
আজ কবর সাজানো ধ্বজাধারীদের হাতে।
ভন্ড শকুনে
ছেয়ে আছে এই পৃথিবীর প্রান্তর,
মানুষ
মরবে, লাশ-উৎসবে মাতবে এ চরাচর-
ভন্ড এবং
গোরখাদকেরা,
গড়েছে
নিঠুর বিভেদের বেড়া
তারে কাটাতারে
বন্দী করেছে মুক্তিকে বরাবর,
মানুষকে
খাবে- ভাগাভাগি তার চলছে নিরন্তর।
হাতে হাত
রেখে গ্রাস করে চলে যুগের হাঙর আজ
তন্ত্র-মন্ত্র,
বিধানের ঢালে হায়েনার এ সমাজ
শোষিত
সকল মানুষের কানে,
মিথ্যে
আশার সান্তনা টেনে,
যথারীতি
চলে- রক্তের ধারা শোষণের কারুকাজ,
সাধু বেশে
এই রাত্রিতে একা শয়তান অধিরাজ।
এখনো কি
তবু ঘুমিয়েই রবো, চেতনা জাগবে কবে!
রাত পাড়ি
দেয়া যোদ্ধার চোখ এখুনি মেলতে হবে।
অশ্রু,
রক্ত- এই অপচয়
আর এক
ফোঁটা আমাদের নয়,
সত্যের
আলো ফুটবেই এই চলমান বিপ্লবে,
সুদিনের
আলো এবার আবার ধরার ধূলিকে ছোবে।
দাঁড়িয়েছে
আজ শত মুজাহিদ সময়ের দ্বারে এসে,
সব অন্যায়,
আবর্জনা- যাবে এই স্রোতে ভেসে,
আসবে শান্তি
ন্যায়ের বিধান
ঘুচে যাবে
সব বাঁধা ব্যবধান
তাওহীদ
রবে, আঁধারের বুকে সূর্য উঠবে হেসে,
মানুষ
বাঁচবে, জীবনকে আর মানুষকে ভালোবেসে।