সোনালী রোদের বুকে সোনার বিছানা,
খড় ছাওয়া ঘর থেকে গরাদের কোণ;
কলমীর বেড়া দেয়া ছোট্ট সীমানা।
ধূলো পায়ে ধানগুলো নাড়ানোর ফাঁকে
পথের বাঁকে তার চকিত চাহনি।
নাকের সোনার নথ চমকাতে থাকে
চৌকাঠে পড়ে থাকে হাঁড়ের চিরুনি।
চারপাশে ধানক্ষেত, মরা খর-নাড়া
শুকনো ধূসর মাটি, স্নেহের শিশির
বহুদূরে পথিকের ক্ষীন চলাফেরা
বিকেলের ছায়াপটে সিঁদূরে আবীর।
ঘরে ফেরা পাখিদের মৃদু কলতান
তার সাথে ডাহুকের সন্ধ্যে আরতি
বায়ু পড়ে আসে চারপাশে নিস্প্রাণ
কদমের শাখা চেয়ে থাকে যথারীতি।
চেয়ে থাকে বয়ে চলা নদীটির বাঁক
ঘরের দুয়ার থেকে এতটুকু দূর
মেটো পানি চলে যায় চির নির্বাক
তার দিকে তাকিয়েই অসীম সুদূর।
ঘিরে আছে ছায়া আর রোদ্দুর তাকে
মুখে চির-অতীতের মিহিন নেকাব
কোথা থেকে স্মৃতিটুকু ইশারায় ডাকে?
সাঁঝ-ভৈরবীতে হয়ে কোমল রেখাব।
কোমল মাটির ঘ্রাণ, ছায়া-গোধূলীতে
ভীড় করে আসে নিয়ে আলোক-আঁধার
এ স্মৃতি ভেসে আসে কোন তরণীতে?
কোন সময়ের তীরে এর পারাপার?
বিস্মৃতি ফেলছে শুধু ফিসফিসে শ্বাস
বিভাবরী স্মৃতি নিয়ে লুকোচুরি তার
এই সন্ধ্যের বুকে অতীত-বিলাস,
হারানো সে সন্ধ্যের খোঁজে আঁখি-ভার।








