নির্লজ্জ, বেহায়া, আর ধুরন্ধরের ভীড়ে,
মনুষ্যত্বের সত্ত্বাটি যেথা ক্রন্দন করে
ফেরে-
মরুর বুকের ফুল হয়ে- সেই মরুতে আনতে প্রাণ,
যুগের এমাম আপনি এলেন- এমামুযযামান।
আল্লাহর দেয়া হুকুমকে আজ বহু দূরে, পায়ে
ঠেলে,
তন্ত্র-মন্ত্র মাথায় নিয়েছি- নতুন বিধাতা
বলে-
দান খয়রাত, আর উপাসনা দিয়ে ধর্মের বলিদান!
ভন্ডামি সব- জানিয়ে দিলেন- এমামুযযামান।
ধর্ম যেখানে পণ্য- শকুন বসেছে খুবলে খাবে,
স্রষ্টার সাথে মশকরা করে- ব্যবসাই সে সাজাবে,
ধ্বজাধারী এই মোল্লাতন্ত্র- ধর্মের অপমান,
সেই ভ্রান্তিকে দেখিয়ে দিলেন- এমামুযযামান!
আমরা রয়েছি মৃত এক জাতি- সারা পৃথিবীটা
জুড়ে,
আবর্জনার স্রোতের মতো- ভাসি, কাঁদি তারস্বরে-
লা’নতের কালি চেহারায় মেখে নামের মুসলমান;
বাঁচাতে এলেন এই পৃথিবীতে- এমামুযযামান।
ব্যস্ত-ত্রস্ত ইবলিশ আজ, শেষ দিন সমাগত
ধ্বংস করতে- দাঁড়িয়ে, যাদের হৃদয় বেদনাহত।
সেই মানুষের হৃদয়ের দ্যুতি, প্রোজ্জ্বল
অম্লান-
দান করেছেন, জীবনের আলো- এমামুযযামান।
মুক্তি নিয়েই এসেছেন তিনি- শান্তি পৃথিবী
জুড়ে;
বিকৃতি আর ভন্ডামি সব ভেসে যাবে বহু দূরে।
তাঁর শির উঁচু করবেই তাঁর আত্মার সন্তান-
জীবন দিয়েই সালাম পাঠাবে, এমামুযযামান।

No comments:
Post a Comment