যেখানে মানুষ-মনে মৌনতা অভিমান করে-
যেখানে অতীত যুগ, ব্যস্ততা- চায় অবসর,
ফেলে আসা রাত-দিন, কথামালা, বিগত বাসর-
নিস্পৃহ সময়ের পায়ে এসে যেথা থমকালো...
বিষাদ-মধুর এ সময় কি কিছু বলে গেলো!
এখানে জীবন তার ডানাদু’টো রেখে বিশ্রামে,
অনন্ত বিভাবরী বুকে নিয়ে- দু’পলক থামে,
বলে যায় কানে কানে, “এসবই তোমার!
সূর্যের ম্লান আলো, নিঃশব্দতা, এ অচিন্ দুয়ার,
চেনা পৃথিবীর মাঝে অচেনার পরিচয় যেটুকুই পেলে;
এসবই তোমার-
যা ধরা দেয় বিষাদ-মধুর এই নীরব বিকেলে।”
সামনে অসীম পারাবার,
সব পথে ঠাঁই নেয়- কুয়াশারা ধূসর, অপার।
মোহের ছায়ার মতো ঘিরে ধরে, ভালোবাসা তার-
পায়েতে জলের ছোঁয়া বলে যায় নিভৃতে আবার,
“আমরা তোমারই আছি.......
তোমার শ্রান্ত প্রাণে মুছে দিতে অতীত অশুচি;
অপেক্ষা নিয়ে গেছে- বহু দিন, বহু বহু কাল,
কত পাতা ঝরে গেছে,
কত তারা খসে গেছে,
কত ঝড় হারিয়েছে জানে মহাকাল।
তবুও ভেবেছি শুধু- কবে কোন বিষাদ-প্রহরে,
তোমার পায়ের ছাপ এঁকে দেবে, ছুঁয়ে দেবে-
তোমার জন্যে গড়া একা-প্রান্তরে।”
দিনের-রাতের সীমা যে সময়ে হয় এলোমেলো-
বিষাদ-মধুর এই বিকেলেই সে সময়টা এলো।
দিগন্তে চেয়ে দেখি....চেয়ে থাকি....
কান পেতে শোনা যায় সীমানাকে পেরোনোর ডাক,
চেয়ে চেয়ে দেখি পৃথিবীর স্নেহ, মায়া- হতবাক,
দিবসের রুদ্রতা যে স্নেহে বিহ্বল হলো;
কোমল যে লালিমায় পরাজিত রজনীর কালো।
যে আলোর ক্ষয় নেই, লয় নেই,
জানে না বিদায় দিতে-
জানে না কোথায় শুরু, কোথা অবসান-
শুধু চায়- অসীমের সাথে যাক চিরতরে মিলে যত
- অনন্ত প্রাণ।





