Sunday, December 10, 2017

বিবাহিত

বিখ্যাত স্প্যানিশ গান “Despacito” এর নতুন লিরিক, সমস্ত আদর্শ বিবাহিতদের জন্য উৎসর্গীকৃত।
---------------------------------------









এ্যাই,
মরছি,
কিবায়?
অও…..অও নো………………অও নো………………অও
দিরিদদিরিদিদ দিদদিদদারি………………

মরছি, বিয়াটা করছি যেদিন, টুপ করে,
মরার উপর খাঁড়ার ঘা ছিলো ঐ।
Do wanna?.............
মরছি, কবুল বলছি যেই মুখ লাল করে,
ভাবি নাই সে রাতে বিলাই পামু কৈ।

Ooowh…………
তাই, বিবাহিত যেইখানে যত ভাই আমার,
বিপদে সব হাতে ধরে হও সোচ্চার,
আমাদের কথা একমাত্র বুঝবো আমরাই তো।

oo…..yeah
তাই, জীবনের মায়া আছে যেইখানে যার,
গ্লাস হাতে এসো তাই দাঁড়াই আবার,
প্রতি পেগে ঝাড়ি চলো মনের ঝাল আছে যত।

বুঝ পাইছি তো-
বিয়ার পরে পুরাদমে বুঝ পাইছি তো,
একা থাকা ছিলো ভালো, আগে শুনছি, মানিনিতো-
লেজের মধ্যে লাগে আগুন এইভাবে আগে জানিনিতো।
বুঝ পাইছি তো-
নাকে চোখে এইভাবে জল আগে আসেনিতো,
এত সোজা পথে আগে কভু হাঁটিনিতো,
এত বড় ফাঁড়া এটা আগে কখনোই ভাবিনিতো।
(বিয়া বিয়া বিয়া বিয়া বিয়া……………………)

সকালের ঘুম শেষ, বাসরের পর থেকে আমার,
ছুটাছুটি দশটা পাঁচটা, এটাই এখন জীবন আমার।
(জীবন আমার, জীবন তোমার, ভাইরে)
আদা, মরিচ, হলুদ, জিরা, আর এই সবজির বাজার,
অলিগলি ঘুরে ফিরি, রাজধানী এটাই এখন আমার।

যখন তখন কানে বাজে “চাল নাই,
বাঘা নামের কুত্তা তোমার ছাল নাই,
কেমন রান্দি বারি তোমার তাল নাই,
পকেটের তোর ফুটা আছে, তল নাই”।

হাতা খোন্তা, হাঁড়ি পাতিল সুরে বাঁজে- বাম বাম
কানের কাছে নাগাসাকি হিরোশিমা- বাম বাম
ভাড়া বাকি, বাড়িওয়ালা, দোরেই বসে বাহ রে
মাসকারা, আর শাড়ি, চুড়ি, বউয়ের নজর কাড়ে
দুনিয়াতে সবাই এখন আমায় ধরে ঝাড়ে
মনে হয় যে, ন্যাংটা হয়ে ছুটি পরপারে।

হাসি তো, কাশি তো,
ভালোও বাসিতো,
ঘড়ি ধরে ধরে, বাসাতে আসি তো।
সোজা পথে হাঁটি
মনে মনে ফাটি
নিজের পেছনটাতে যখন নিজেই দিছি কাঠি।

হাসি তো, কাশি তো,
ভালোও বাসিতো,
এটা ওটা নিয়ে, এখনও ফাসিতো।
কলুর বলদ হয়ে,
সবই গেছে সয়ে,
আমি করিনিতো বিয়ে; বিয়ে- করছে আমায় বিয়ে।
oo…..yeah

বুঝ পাইছি তো-
বিয়ার পরে পুরাদমে বুঝ পাইছি তো,
একা থাকা ছিলো ভালো, আগে শুনছি, মানিনিতো-
লেজের মধ্যে লাগে আগুন এইভাবে জানিনিতো।
বুঝ পাইছি তো-
নাকে চোখে এইভাবে জল আগে আসেনিতো,
এত সোজা পথে আগে কভু হাঁটিনিতো,
এত বড় ফাঁড়া এটা আগে কখনোই ভাবিনিতো।

তোমরা যারা ওয়েটিংয়ে, চোখে মুখে বুকে সুখের আগুন
‘কবে আইবো আমার পালা’ য়
জান নিয়ে ফুটো দ্রুত।
(দ্রুত দ্রুত, অতি দ্রুত, ভাইরে)
সাধের এক জীবনে বিয়া-ই হইলো শেষের ফাগুন,
এরপর এই মাইনক্যার চিপায়,
ক্যাঁক করার আগেই নিহত।

বুঝ পাইছি তো-
বিয়ার পরে পুরাদমে বুঝ পাইছি তো,
একা থাকা ছিলো ভালো, আগে শুনছি, মানিনিতো-
লেজের মধ্যে লাগে আগুন এইভাবে আগে জানিনিতো।
হাসি তো, কাশি তো,
ভালোও বাসিতো,
পদে পদে এখন, হচ্ছি শোষিত,
আয়নায় নিজেকে দেখে, আগে এত রাগিনিতো।
(রাগিনিতো, রাগিনিতো, ভাইরে)
হাসি তো, কাশি তো,
ভালোও বাসিতো,
বেঁচে আছি তবু, মৃত ঘোষিত,
সত্যিকারে মরে গেলে, তবু কোথাও স্টপেজ হইতো।
বুঝ পাইছি তো…………….

হাসি তো, কাশি তো,
ভালোও বাসিতো,
বেঁচে আছি তবু, মৃত ঘোষিত।
হেই হেই হেই হেই………………

হাসি তো, কাশি তো,
ভালোও বাসিতো,
বেঁচে আছি তবু, মৃত ঘোষিত।

হেই হেই হেই হেই………………….

Wednesday, November 15, 2017

বিভেদ

এখানে রাত্রি- আঁধারের বুকে শুয়ে,
ভাসায় স্বপ্ন অসম্ভবের নায়ে;
জীবন এখানে নির্ঘুম রাতে- ছুঁয়ে,
সঞ্চিত আশা- বঞ্চিত পরিণয়ে



তোমার দিবস পূর্ণ আলোয় আঁকা
স্বপ্ন সেখানে স্বপ্নের-মরিচীকা;
ওখানে জীবন জ্যামিতির সুরে শেখা-
সঞ্চিত সুখে, বঞ্চনা ঢেকে রাখা।

এখনো কুয়াশা










পায়ে পায়ে আজ শিশিরের কোলাহল,
আকাশ-অশ্রু বাতাসের বুকে ভাসে;
কুয়াশা, তোমার অবারিত চলাচল-
আজো নি:শব্দতা ভর করে ফিরে আসে


বিবর্ণ আর ধূসর ধূলার ধোঁয়ায়,
গ্রাস হয়ে আছে মানুষের অঞ্চল;
হৃদয়ে অজানা আধাঁরের চাওয়া-পাওয়ায়,
স্বপ্ন-ব্যাকুল দিগন্ত বিহ্বল


আমিও ব্যাকুল, আমার ক্লান্তি ছুঁয়ে,
দুই হাতে মৃত-সীমানার হাতকড়ি,
চোখ নির্ঘুম, মুক্তির পথে চেয়ে-
ছিন্ন পালেই ভাসছে জীর্ণ তরী


আমার স্বপ্ন রাত্রিতে ভেসে চলে,
তারায় তারায় সুদূর সঞ্চারণ,
আমার স্বপ্ন অতীতের কথা বলে,
বিভাবরীতেই বিস্মৃত ভীরু মন


কুয়াশা, তুমি কুয়াশায় আজো লীন-
সময়ের বুকে, মিশে সময়ের মতো;
ভাবনায় নিয়ে কৈশোর অমলিন-
কালের সীমানা পেরিয়ে আজ অক্ষত

Tuesday, October 17, 2017

নাদান প্রশ্ন


















নাদান বান্দা:
হুজুর, আমি বান্দা নাদান, প্রশ্ন নাদান তাই-
মনের মধ্যে খটকা গেরো, খোলার বিধান চাই
কালকে যখন কোরআন পড়ি,
ঘন্টা বাজায় মনের ঘড়ি,
একটা দুটো প্রশ্ন মনে বাজাচ্ছে সানাই,
অনুমতি- আরজ করি, মনের আশাটাই


জ্ঞানী বান্দা:
আরে, বলো, কি জানতে চাও, সময় বহুত কম,
হারুর গরুর কল্লাটাকে খেয়েছি বেদম।
শ্বাসের ঘরে হাফাস হাফাস,
পেটটা কখন করবে ধপাস,
ছুটলে তলা- শরম ভারী, ওরে বে-রহম;
তোর কথা বল, শুনে দেখি প্রশ্ন কি রকম


নাদান বান্দা:
আল-বাকারায় কালকে দেখি, খোদার রুদ্ররূপ,
শাস্তি দেবার প্রতিশ্রুতি, ভীষণ বিরূপ।
ধর্মে যারা নেয় বিনিময়,
পবিত্রতা তার নাকি নয়,
আগুনে তায় পোড়াবে - তার নিস্তার নিশ্চুপ;
আমল হবে অঙ্গার আর জাহান্নামের ধূপ।।


জ্ঞানী বান্দা:
(স্ফূর্তি ছেড়ে, উঠলো তেড়ে, স্বরাজ মহাশয়,
তলার ধারা ছুটলে মাথায় এমন-তরোই হয়
ধর্ম যে তার খাদ্য-সহায়,
ব্যবসা-পাতি, বিষয়-আশয়,
পেটের উপর পড়লে লাথি বেরোয় পরিচয়,
ব্যবসা-গোমর ফাঁক হলে তা সহ্য করার নয়।)


ওরে অধম, ওরে নাচার, মূর্খ, হে নচ্ছার-
দুটো কলম কোরআন পড়েই এত অহংকার!
তুই বেয়াদপ, ভীষণ ফাজিল,
কিসের সাথে কি দিলি মিল,
ব্যাখ্যা ছাড়া আল কোরআনের স্পর্শ অনাচার;
যাই লেখা থাক, তফসীরে হয়- ইধার কে ওধার


পষ্ট করে যতই লিখুন আল্লাহ সোবাহান,
আমরাই শুধু বুঝতে পারি কি বোঝাতে চান;
শিখেছি তা মেহনতে,
তুই কিনা আজ হর-হাভাতে,
যা লেখা তাই পড়ে করিস প্রশ্ন করার শা;
মোদের গায়ে ছুঁড়লে কাদা খোদার অপমান


নাদান বান্দা:
স্পর্ধা করুন ক্ষমা, হুজুর, পথ না পেয়ে শেষে-
আপনাতেই আসতে হলো এই দুয়ারে ভেসে।
ধর্ম এখন বেগার খাটে,
তাপ্পি মারা পকেটে,
দ্বীনের অধিকারটা এখন একদমই একপেশে;
হুজুর এবার দিন ফতোয়া, খোদার কথার শেষে


খোদা বলেন- অতি সহজ, আমার কোরআন,
কামার, কুলি, কৃষক, শ্রমিক সবার তরেই দান
সময়ের কাফের যারা,
শুনেই নাকি বুঝতো তারা,
উম্মি নবী- খোদার কথায় কি বোঝাতে চান;
বুঝিনা এই সহজ কথা- আমরা মুসলমান


মিলাদ, জিকির, মুর্দা-দাফন, নামাজ, ওয়াজ যত,
টাকার বিনিময়ে দেখি চলছে রীতিমতো।
পড়াশুনার করে এবার,
ধান্দা নিলেন ব্যবসা করার,
খোদার অটুট বানী হলো ব্যাখ্যাতে বিক্ষত;
ইধার কা মাল ওধার ব্যবসায়ের মর্জিমত


ফতোয়া, আর তফসীরে সেই সহজ কথা ঢেকে,
কঠিনমানে’র অন্তরালে ধর্ম কাঁদে শোকে
আমরা সবাই ধর্ম-ক্রেতা
খোদার বানী পন্য হেথা
দিচ্ছি টাকা, বলুন হুজুর, কিমানে’ এর থাকে-
দ্বীনের বিনিময়কে খোদার হারাম বলার ফাঁকে?